অফিসে আমার সামনে যিনি চাকরি করেন তিনি ৭ বছর অর্থনীতিতে পড়েছেন। এখন কাজ করেন এক্সেকিউটিভের। অফিস এসিস্টেন্ট পড়ছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। লেখাপড়া কর্মক্ষেত্রে ০% কাজে লাগছে। আমার একজন বন্ধু আছে যে পড়েছে জীববিজ্ঞানে। এখন কাজ করে ব্যাংকে। আরেকজনকে চিনি যে পড়েছে ইসলামী ইতিহাসে এখন গার্মেন্টস এর জিএম। একজন সিনিয়র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার যে কাজে অত্যন্ত দক্ষ, পড়েছেন একাউন্টিং এ। তার চেয়ে মজার বিষয় কি জানেন? ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য একজন হায়ার করা হয়েছিলো যে ব্র্যাক থেকে বিবিএ করা কিন্তু কাজের দক্ষতায় তাকে রিপ্লেস করেছে মেট্রিক পাস একজন। এমন হাজারো গল্প হয়তো আপনারও জানা। ওদেরকে যখন প্রশ্ন করি তাহলে ইন্টারের পরে এত বছর পড়ে কি লাভ হলো? কেউ উত্তর দিতে পারে না। সাত বছর এবং এত গুলো টাকা কি নষ্টই হলো?
হয়তো হলো।
তাহলে কেনো পড়লেন?
এই জায়গায় কেউ নীরব থাকেন কেউ বলেন, এখন তো কিছু কিছু কেরানির কাজেও মাস্টার্স পাশ চায়। কি করবো না পড়ে?
আসলে একটি দেশের লক্ষ লক্ষ যুবকদের জীবনের স্বার্ণালী সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অকারণে এইটা কি চিন্তার বিষয় না? এই সময়ে যদি তারা কাজে লেগে পড়তো, ব্যবসা করতো তাহলে দেশের কত বেশী অর্থনৈতিক উন্নতি হতো এবং তাদের জীবনেও ভাবতে পারেন?
উচ্চ শিক্ষা আসলে খুব অল্প মানুষের জন্য দরকার। বাকিরা ইন্টারের পর যেই কোন কাজ শিখে নিতে পারে। এমনকি সেই যোগ্যতায় ব্যাংকের এমডি, গার্মেন্টস এর জিএম থেকে শুরু করে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার সহ অনেক কিছুই হতে পারে। এই বিশাল সুযোগ কাজে না লাগিয়ে আমরা কাউকে বসিয়ে রাখছি এবং হতাশ করছি, দেরিতে বিয়ে হচ্ছে, সংসারের বোঝায় পরিণত হচ্ছে এই পুরো সিস্টেমটি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অপচয়ের খাতা। এই অপচয়ের সিস্টেম বন্ধ করতে না পারলে ব্যক্তি বিশেষ হিসেবে নিজেদের জীবনে এবং রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ উন্নত হতে পারবো না।
No comments:
Post a Comment