যে প্রস্তুতিতে যুক্তরাষ্ট্রে কোটি টাকার বৃত্তি
.............................................................................
মো . আশিকুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ওবারলিন কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের ছাত্র শাহরিয়ার আবরার হিমেল । চার বছরের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন তিনি । অনেকের ধারণা , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারগ্র্যাড পর্যায়ে কলেজে আবেদন করতে ও স্কলারশিপ পেতে প্রচুর টাকা লাগে । কিন্তু বাস্তবতা হলো — সঠিক পরিকল্পনা ও কিছু কৌশল জানলে এক টাকাও খরচ না করে আবেদন করা সম্ভব ।
আবেদনে যা যা প্রয়োজন ক্লাস ৯–১২ – এর ট্রান্সক্রিপ্ট , একটি মানসম্পন্ন এসে ( Essay ) , অর্জিত অ্যাওয়ার্ডসমূহ , শিক্ষক বা কাউন্সেলরের রেকমেন্ডেশন লেটার ( LoR ) , ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ ( English Proficiency Test বা EPT ) , স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট স্কোর ( যেমন SAT ) , ফিন্যান্সিয়াল প্রোফাইল ( CSS বা ISFAA ) এবং কিছু ক্ষেত্রে পোর্টফোলিও ।
আবেদনের পদ্ধতি Common App , Scoir বা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পোর্টাল ব্যবহার করে আবেদন করা যায় । Common App দিয়ে প্রায় ২০ টি
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা খরচে আবেদন করা সম্ভব । আর Scoir ব্যবহার করে ১৩৫ টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি আবেদন করা যায় । এ ছাড়া ই- মেইলের মাধ্যমে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লিকেশন ফি ওয়েভার চাওয়া যায় , যা প্রতি আবেদনে ৫০– ১০০ ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় করে ।
ইংরেজি দক্ষতার পরীক্ষায় সাশ্রয় Duolingo সবচেয়ে সাশ্রয়ী EPT , যার ফি ৪৯ ডলার । তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ই - মেইলে ফ্রি Duolingo কোড দেয় , ফলে ফ্রিতে পরীক্ষা দেওয়া যায় । ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা MOI ( Medium of Instruction ) ব্যবহার করে এই পরীক্ষা ছাড়াও আবেদন করতে পারেন । কেউ যদি SAT- এ ৬০০ বা তার বেশি স্কোর করেন , সে ক্ষেত্রেও অনেক সময় EPT লাগে না ।
The Great Bangladesh
SAT ও অন্যান্য টেস্ট বাংলাদেশে SAT ফি ওয়েভার না মিললেও ভালো স্কোরে স্কলারশিপের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায় । কেউ যদি বিদেশ থেকে আবেদন করেন , সে ক্ষেত্রে কখনো ফ্রি SAT- এর সুযোগ থাকে । SAT ওয়েভার পেলে প্রায় ১১১ ডলার সাশ্রয় সম্ভব ।
ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টেশন ফিন্যান্সিয়াল এইডের জন্য অনেক
বিশ্ববিদ্যালয় CSS Profile চায় , যার প্রতি আবেদন ফি ২৫ ডলার । তবে এখানেও ই – মেইলের মাধ্যমে ওয়েভার চাওয়া যায় । অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ISEAA ফর্ম দিয়ে ফ্রি অপশন রাখে ।
পোর্টফোলিও ও বিশেষ ক্ষেত্র আর্টস বা প্রজেক্টভিত্তিক সাবজেক্টে আবেদন করলে Slideroom- এর মাধ্যমে পোর্টফোলিও দিতে হয় , যার ফি প্রায় ১৫ ডলার । তবে ওয়েভার চেয়ে নিলে এটিও ফ্রি হয় ।
স্কলারশিপ পাওয়ার মূলমন্ত্র শাহরিয়ার বলেন , সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের উদ্যোগ , সঠিক সময়ে ই - মেইল করা । আর নিজের প্রোফাইল ভালোভাবে উপস্থাপন করা । তাঁর মতে , সঠিক পরিকল্পনা আর ধৈর্য ধরে কাজ করলে এক টাকাও খরচ না করে ২০–৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব ।
নতুনদের জন্য পরামর্শ শাহরিয়ার বলেন , কেউ যদি ঢাকার মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়েও এটি করতে পারে , তাহলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে চেষ্টা করে সফল হওয়া সম্ভব । স্বপ্ন দেখা , চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া আর নিজের প্রতি বিশ্বাসই সফলতার চাবিকাঠি ।
--সোর্স আজকের পত্রিকা
No comments:
Post a Comment